Banner 320x50

'জনগণ টাকা খেয়ে ভোট দেয়' প্রধান উপদেষ্টার মুখে এমন কথা জাতির জন্য লজ্জাজনক: এম.এ. আজিজ



 ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত ১১টি বিদেশ সফর করেছেন, যার মধ্যে মাত্র একটি রাষ্ট্রীয় ছিল এবং বাকি সব সফরই ছিল ব্যক্তিগত। তবুও প্রতিটি সফরের খরচ বহন করেছে রাষ্ট্রীয় কোষাগার—এমন অভিযোগ তুলেছেন সিনিয়র সাংবাদিক এম.এ. আজিজ।

‘মানচিত্র’ নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ অভিযোগ তুলেন।

, “ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী আগের দিন পর্যন্ত পার্লামেন্টে ছিলেন, তার কোনো সরকারি বৈঠকের সময়সূচি ছিল না। অথচ সরকার বলছে ড. ইউনূসের সঙ্গে তার বৈঠক হবে। এটি স্পষ্ট মিথ্যাচার। প্রেস সচিব মিথ্যা কথা বলছেন।”

ড. ইউনূসের সাম্প্রতিক বক্তব্য—“জনগণ টাকা খেয়ে ভোট দেয়, তারা ভোটের অর্থ বোঝে না”—উল্লেখ করে আজিজ বলেন, “একজন প্রধান উপদেষ্টার মুখে এমন কথা জাতির জন্য লজ্জাজনক। তিনি এনজিও পরিচালনা করেন, কিন্তু একটি রাষ্ট্র পরিচালনার ন্যূনতম যোগ্যতা তার নেই। তিনি দেশকে ব্যবসার কেন্দ্রে রূপান্তর করেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “গ্রামীণ ব্যাংককে ৬৬৬ কোটি টাকা এবং গ্রামীণফোনকে ৪ হাজার কোটি টাকা সুদ মওকুফ করা হয়েছে। তাহলে জনগণ কেন দুর্নীতিগ্রস্ত হবে না? তিনি নিজেই হাজার হাজার কোটি টাকা ভোগ করছেন। বিদেশ সফর, ক্ষমতা গ্রহণ এবং আন্তর্জাতিক মহলে তার বক্তব্য সবই প্রশ্নবিদ্ধ।”

এম.এ. আজিজ দাবি করেন, “ড. ইউনূস যখন সরকারে আসেন, তখন তিনি দণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা ছিল, যা তিনি ক্ষমতায় বসে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।”  

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “বর্তমান সরকার দেশের রাজনৈতিক বিভক্তিকে আরও ঘনীভূত করেছে। এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জামায়াত ছাড়া সব রাজনৈতিক দল নির্বাচন চায়। অথচ ড. ইউনূস নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা করছেন।”

আজিজ আরও বলেন, “প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও কমিশনে ছাত্রদের বসিয়ে দুর্নীতিকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এই সরকারের কর্মকাণ্ড কার্যত ফ্যাসিবাদের মতো। ছাত্রদের দিয়ে একটি ‘মব কালচার’ তৈরি করা হয়েছে, যা ভয়ংকর পরিণতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে দেশকে।”

তিনি সরকারকে “সম্পূর্ণ অবৈধ” দাবি করে বলেন, “ড. ইউনূস পুরো দেশকে জিম্মি করে ফেলেছেন। তিনি নিজের স্বার্থে দেশ চালাচ্ছেন। এই সরকারের ১৭ জন সহযোগী প্রবাসী এবং ইউনূস নিজেও আমেরিকান নাগরিক। সংকটে পড়লে সবাই প্লেনে করে দেশ ছেড়ে চলে যাবে।”

ব্রিটেন সফরের বিষয়ে আজিজ বলেন, “যদি সেই বৈঠক ব্যর্থ হয়, তাহলে তাকে অপমানজনক পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে এবং দেশে টিকতে পারবে না। ফেব্রুয়ারির মধ্যেই তাকে নির্বাচন দিতে হবে, অন্যথায় পালানোর পথ ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না।”

সবশেষে আজিজ বলেন, “ড. ইউনূস নিজের স্বার্থে যেকোনো আপস করতে পারেন। এই দেশে বহু অপরাধ করেছেন তিনি। অথচ কোনোদিনও বলেননি—‘তোমরা লেখাপড়া করো, দেশ গড়ো।’ এই জাতি ধ্বংস হলেও তার কিছু যায় আসে না।”

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.